ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা ১০ম বারের মতো বুন্দেস লিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর সব মিলিয়ে এটি বায়ার্নের ৩১তম বুন্দেস লিগার শিরোপা। এর আগে শেষবার ২০১১/১২ ও ২০১০/১১ মৌসুমে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল বায়ার্ন। এরপর টানা ১০ মৌসুম ধরে বুন্দেস লিগায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে বাভারিয়ানরা।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার শিরোপা লড়াই জিইয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না ডর্টমুন্ডের সামনে। তবে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তারা। সের্গে জিনাব্রি বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমরে কান ব্যবধান কমানোর পর শেষ দিকে জামাল মুসিয়ালা জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। গত কয়েক রাউন্ড ধরে শিরোপা লড়াইটি মূলত ছিল এই দুই দলের মধ্যে। সেখানে এবার ডর্টমুন্ডের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বায়ার্ন। ১৯৬৩ সালে বুন্ডেসলিগা শুরুর পর থেকে এই নিয়ে ৩১ বার চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। আর সব মিলিয়ে জার্মানির লিগ জিতল তারা ৩২ বার।
ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে যান জিনাব্রি। ঠাণ্ডা মাথায় বল ধরে জোরাল শটে গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ২৯তম মিনিটে আবারও জালে বল পাঠান জিনাব্রি। তবে তাকে পাস দেওয়া কিংসলে কোমান অফসাইডে থাকায় ভিএআরে মেলেনি গোল। ব্যবধান দ্বিগুণ হতে অবশ্য দেরি হয়নি।
পাঁচ মিনিট পর প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে স্কোরলাইন ২-০ করে স্বাগতিকরা। নিজেদের সীমানায় ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার ডেন-এক্সল জেগেড বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে। এরপর সতীর্থের পা হয়ে বল পেয়ে ডি-বক্সে থ্রু পাস দেন টমাস মুলার আর আগুয়ান গোলরক্ষকের দুই পায়ের মধ্যে দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন লেভানদোভস্কি। আসরে পোলিশ তারকার মোট গোল হলো ৩৩টি। তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ গোল বায়ার লেভারকুজেনের ফরোয়ার্ড পাত্রিক শিকের। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এই নিয়ে বুন্ডেসলিগায় টানা আট হোম ম্যাচে জালের দেখা পেলেন লেভানদোভস্কি। জার্মানির শীর্ষ লিগের ইতিহাসে আর কেউ কোনো এক দলের বিপক্ষে টানা এত ম্যাচে গোল করতে পারেনি।