নৈঃশব্দ্যের নিমগ্ন ডুব
ঈশিতা ইমু
নীরবতা আজ কথা বলছে,
তোমার ফেলে যাওয়া ধূলো মাখা পাণ্ডুলিপির পাতায়।
যেখানে কিছু শব্দ থেমে গিয়েছিল
প্রেম, প্রতীক্ষা বা হয়তো শুধুই পরিণতির আগে।
চাঁদের আলো জানালার কাঁচে চুমু খায়—
আর আমি বসে থাকি এক কফির পেয়ালায়,
তোমার চোখের শেষ দৃশ্যটুকু চুম্বকের মতো টেনে আনে,
অথচ মুখটা… আজও ধোঁয়াটে থেকে যায়।
এই শহর জানে না,
আমার ভেতর প্রতিদিন এক সমুদ্র আত্মহত্যা করে,
আর আমি—
তার ঢেউগুলোকে চুপিচুপি
নিজের রক্তে অনুবাদ করি।
একটা সময় ছিল—
তুমি বলেছিলে, “ভালোবাসা মানে ধৈর্য।”
আমি তা বিশ্বাস করেছিলাম,
আর এখন ধৈর্য শব্দটাই
আমার কবরে ফলক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমার বুকের ভিতরে
একটা জাদুঘর আছে,
যেখানে প্রতিটা অভিমানের পাশে
তোমার হাসির নিঃশ্বাস রেখে দিয়েছি আমি—
ভাঙলে বাজবে না,
তবু প্রতিধ্বনি দেবে।
জানো?
ভালোবাসা কখনো মরে যায় না।
ওটা শুধু অন্য নামে
চিঠি পাঠায় অন্য কোনো ঠিকানায়।
আজ আমি
তোমাকে আর ভালোবাসি না—
তবে প্রতিদিন তোমায় নিয়ে
একটা নতুন কবিতা লিখি।