রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের মুখপত্রে আপনাকে স্বাগতম।
শিরোনাম :
মান্দায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ১ শ্রীনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক উপর বর্বর ও পরিকল্পিত হামলার ঘটনা  আওয়ামীলীগ নোতাকে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে প্রবাসী পরিবারকে হয়রানি মূলক মামলা ও হামলার হুমকির   অভিযোগ  ব্রাহ্মণপাড়ায় আব্দুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের এইচ, এস, সি পরীক্ষারর্থীদের বিদায় মুরাদনগরে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে অবরুদ্ধ একটি পরিবার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু নৈঃশব্দ্যের নিমগ্ন ডুব— ঈশিতা ইমু

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দিলেন মেহমুদ হোসেন

বাংলাদেশের মুখপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন মো. মেহমুদ হোসেন। ব্যাংকটির পক্ষ থে‌কে এ তথ্য জানানো হ‌য়ে‌ছে।

৩০ নভেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভার মেহমুদ হোসেনকে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার তিনি যোগদান করেন। গত নভেম্বরে শাহ সৈয়দ আবদুল বারী পদত্যাগ করেন, এতে পদটি খালি হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মেহমুদ হোসেন ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকে শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। এরপর ৩৭ বছরের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেহমুদ হোসেন এনআরবি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যাংক এশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রাইম ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ বিজনেস অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়া, তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক এবং লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৫ নভেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ সৈয়দ আবদুল বারী পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের চিঠিতে তিনি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। এরপর ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সৈয়দ রইস উদ্দিনকে এমডি হিসেবে (চলতি দায়িত্ব) দেওয়া হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির পদত্যাগের ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত দেড় দশকে ব্যাংকটির অধিকাংশ এমডিই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পর্ষদের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে ২০১৪ সালে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার এমডির পদত্যাগের কারণ সিআইবি তথ্যে গড়মিল, যার নেপথ্যে সিকদার পরিবারের সদস্যদের ক্রেডিট কার্ড।

জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) খরচ করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের অন্যতম মালিক সিকদার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেই খরচের (ঋণ) তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) জমা দেয়নি ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে চেয়েছে, কেন ন্যাশনাল ব্যাংককে জরিমানা করা হবে না। এর সূত্র ধরেই সিকদার পরিবার ব্যাংকটির এমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংকে চলা অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার কলকাঠি নাড়ছে সিকদার পরিবার। দীর্ঘদিন এর চেয়ারম্যান ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার। এরপর বেশ কিছুদিন কোনো পর্ষদ সভা না হলেও প্রায় ৯০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়, যার সুবিধাভোগী নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ঋণ বিতরণ নিয়ে বেশকিছু অনিয়মের ইঙ্গিত পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পরে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংককে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন করে ঋণ দিতে হলে ব্যাংকটির আমানত বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণ করা ঋণ আদায় বাড়ানোর কথা বলা হয় চিঠিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পরিদর্শনে ন্যাশনাল ব্যাংকে সিকদার পরিবারের বেনামি ঋণসহ স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিভিন্ন তথ্য উঠে এসে। এসবে সরাসরি সহযোগিতা করেন ব্যাংকটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল।

সূত্র জানায়, ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের উৎসাহে এসব ঋণ অনুমোদন করেন বুলবুল। এসব অনিয়মের কারণে ন্যাশনাল ব্যাংকে বুলবুলকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর