জুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি:
ঈদুল আজহায় বাড়িতে বেড়াতে এসে বাবা বাবুল আহমেদ বাবুর (৬০) সঙ্গে পুকুরে নেমেছিল সাঁতার শিখতে। কিন্তু হালিমার সাঁতার শেখা আর হলো না। বাবার হাত ফসকে ডুবে মারা যায় সে। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাও প্রাণ হারান।
গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটে। বাবুল আহমেদ উপজেলার বাবুল ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী।
জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)। এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। বাবুল আহমেদ বাবু পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার বিকেলে নিজ বাড়ির পুকুরে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে নামেন। সাঁতার শেখানোর একপর্যায়ে হাত ফসকে মেয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাও পানিতে ডুবে মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় পরিবার ও গ্রামের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তাদের বাড়িতে গিয়ে শোকাহত স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।
জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল হক বলেন, ‘পানিতে ডুবে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’