প্রদীপ বিশ্বাস: প্রয়াত রশিদ চেয়ারম্যান লক্ষ্মীপুর সদরের ১ ন. উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নুর পিতা। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নান্নু নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জাহির করেন। কিন্তু রশিদ চেয়ারম্যান সরাসরি যুদ্ধ করাতো দূরের কথা মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্যতম সহযোগিতাও করেননি এবং রশিদ চেয়ারম্যান তাঁর জীবদ্দশায় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেননি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রশিদ চেয়ারম্যান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের নূন্যতম সহযোগিতাও করেননি। তাকে আমরা চিনতামও না। অথচ তার ছেলে নান্নু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বরাবর তার জীবনবৃত্তান্ত পাঠায়। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে আওয়ামী লীগ নেতারা।
লক্ষ্মীপুর সদরের বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি নিজ এলাকায়। নিজ এলাকাসহ আশপাশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ পরিচয় গড়ে ওঠে। সরাসরি যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে শুধু তারাই নয় বরং যারা শত্রুর অবস্থান আমাদের জানিয়েছে তাদেরকে আমরা চিনি। যারা আমাদের থাকতে দিয়েছে, খাদ্য সরবরাহ করেছে তাদেরকেও চিনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় রশিদ চেয়ারম্যানকে কখনো দেখিনি। তিনি আমাদের সামান্যতম সহযোগিতাও করেননি। অথচ তার সন্তান নান্নু তার পিতা রশিদ চেয়ারম্যানকে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ফেলেন। এটা অনুচিত ও অন্যায়।
এই ব্যাপারে এমরান হোসেন নান্নুর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও সে ফোন ধরেন নি ও পরে এসএমএস পাঠানো হলেও সারা মেলেনি।