বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের মুখপত্রে আপনাকে স্বাগতম।
শিরোনাম :
শ্রীনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক উপর বর্বর ও পরিকল্পিত হামলার ঘটনা  আওয়ামীলীগ নোতাকে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে প্রবাসী পরিবারকে হয়রানি মূলক মামলা ও হামলার হুমকির   অভিযোগ  ব্রাহ্মণপাড়ায় আব্দুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের এইচ, এস, সি পরীক্ষারর্থীদের বিদায় মুরাদনগরে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে অবরুদ্ধ একটি পরিবার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু নৈঃশব্দ্যের নিমগ্ন ডুব— ঈশিতা ইমু মানবতার বিরুদ্ধে ইসরায়েল এর হামলা ১১৭ ফিলিস্তিনি নিহত

করোনা : ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়েছে অপ্রয়োজনে

বাংলাদেশের মুখপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

 নিউজ ডেস্কঃ দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে ৮০ শতাংশই ব্যবহার করা হয়েছে অপ্রয়োজনে। অ্যান্টিবায়োটিকের এমন যথেচ্ছ ব্যবহার না কমলে করোনার মতো আরেকটি মহামারির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে পরিচালিত সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।

তিনি জানান, মুগদা হাসপাতালে চলতি বছরের ১ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ওষুধের ৭০ শতাংশই ছিল অ্যান্টিবায়োটিক। আর আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ। এর মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও সেফ্টরিয়াক্সন ব্যবহার হয়েছে ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। আর হাসপাতালে ভর্তির আগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো ব্যবহার করেছেন ৩৩ শতাংশ রোগী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আইইডিসিআরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার না কমলে করোনার মতো আরেকটি মহামারির আশঙ্কার কথা জানান গবেষকরা। একইসঙ্গে এই মহামারি রুখতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রোগী ও চিকিৎসক সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অনুষ্ঠানে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, দেশে করোনা চিকিৎসায় ৮৭ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এর ৮০ শতাংশই ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হয়েছে। ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যে হারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়েছে তা আগামী দিনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। করোনার সময়টাতে একজনকে দেওয়া চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র আরও বেশ কিছু রোগী অনুসরণ করেছেন। এটাও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ আসছে। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাব বলে আশা করি।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর