শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের মুখপত্রে আপনাকে স্বাগতম।
শিরোনাম :
মান্দায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ১ শ্রীনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক উপর বর্বর ও পরিকল্পিত হামলার ঘটনা  আওয়ামীলীগ নোতাকে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে প্রবাসী পরিবারকে হয়রানি মূলক মামলা ও হামলার হুমকির   অভিযোগ  ব্রাহ্মণপাড়ায় আব্দুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের এইচ, এস, সি পরীক্ষারর্থীদের বিদায় মুরাদনগরে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে অবরুদ্ধ একটি পরিবার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু নৈঃশব্দ্যের নিমগ্ন ডুব— ঈশিতা ইমু

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কোটিপতি হয়ে দিশেহারা অ্যাম্বুলেন্স চালক

বাংলাদেশের মুখপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

একেই তো বলে ভাগ্য। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বনে গেলেন কোটিপতি। নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। এত টাকা পেয়ে হয়ে গেলেন দিশেহারা। ছুটে গেলেন পুলিশের কাছে। জানতে চাইলেন এখন কি করা উচিত। এমনটা ঘটেছে ভারতের বর্ধমানের বাম এলাকার বাসিন্দা শেখ হীরার ভাগ্যে। তিনি পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক।

শেখ হীরা বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। ২৭০ টাকা দিয়ে টিকিটের একটি তোড়া কাটেন তিনি। তারপর দুপুর দেড়টা নাগাদ সেই টিকিট মেলাতে গিয়েই হীরার চক্ষু চড়কগাছ। হয়ে গেছেন একেবারে কোটিপতি। তার হাতে থাকা টিকিটেই মিলেছে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা। বারবার মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই নানান আশঙ্কা ভিড় করে তার মনে। লটারির টিকিটটি ছিনতাই হয়ে যাবে না তো। এমন আশঙ্কাও তৈরি হয় হতদরিদ্র শেখ হীরার মনের মধ্যে।

সময় নষ্ট করেননি হীরা। কিছু ভেবে উঠতে না পেরে সোজা চলে যান শক্তিগড় থানার পুলিশের কাছে। অবশেষে পুলিশি নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। এখন হীরার বাড়িতে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

হীরার মা অসুস্থ। তার চিকিৎসায় মোটা টাকা খরচ। আয় বলতে পরের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যেটুকু মেলে। তবে কপালের উপর আস্থা রেখেছিলেন হীরা। যদি কোনো দিন মোটা টাকা মেলে। এ আশায় হীরা টিকিট কাটতেন মাঝে-মধ্যেই। তবে একেবারে কোটিপতি হয়ে যাবেন, তা তিনি কল্পনা করেননি।

হীরার কথায়, ‘আমি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। টাকা পাওয়ার আশায় লটারির টিকিট কাটতাম ঠিকই, কিন্তু আজ কোটি টাকা আমার কপালেই আসবে স্বপ্নেও ভাবিনি। কী করব ভেবে উঠতে না পেরে পরামর্শ নিতেই থানায় যাই।’

এত টাকা নিয়ে কী করবেন?

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হীরা বলেন, ‘টাকার অভাব ছিল। সেটা মিটল। আপাতত এ টাকায় অসুস্থ মায়ের ভালো করে চিকিৎসা করাব। ভালোভাবে থাকার মতো একটা বাড়িও করব।’ এর বেশি কিছু এখনই ভেবে উঠতে পারছেন না হীরা।

এদিকে যার দোকান থেকে কোটি টাকার পুরস্কার উঠেছে, সেই লটারির টিকিট বিক্রেতা শেখ হালিমও খুশি। তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরে টিকিট ব্যবসা করছি। অনেকেই টিকিট কাটেন। কিছু পুরস্কার মেলে মাঝে-মধ্যেই। কিন্তু এত বড় পুরস্কার আমার দোকান থেকে আগে কখনও উঠেনি। দীর্ঘ ২১ বছর পর আজ আমি এমন পুরস্কার দিতে পেরে খুবই খুশি।’ এবার হীরার সুদিন ফিরবে ভেবে খুশি মা থেকে প্রতিবেশীরাও।

সূত্র: এই সময়

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর