আদম মালেক : ভুয়া ডিগ্রী, অযোগ্যতা ও জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রাইম ইউনির্ভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. হুমায়ুন কবীর। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তিনি পদত্যাগপত্র দাখিল করতে বাধ্য হন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, হুমায়ুন কবীরের সনদপত্র ভুয়া। ভিসি হওয়ার নূন্যতম শর্তও তিনি পূরণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুসারে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের জন্য ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হয় তার আছে সাত বছরের অভিজ্ঞতা।১৫ টি গবেষণাপত্রের জায়গায় আছে মাত্র দুইটি। নেই পিএইচডি ডিগ্রি। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন এমনকি শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগপত্রে বলা আছে। ইবাইস ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ও র্সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কৃত হন। লাঞ্ছিত হন প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেও উপাচার্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি শিক্ষার্থীদের মূল সনদে স্বাক্ষর করার অধিকার রাখেন না কিন্তু স্বাক্ষর করেছেন যা ফৌজদারি অপরাধ। এসব নেতিবাচক চর্চায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গড়ে ওঠে তাকে অপসারণের আন্দোলন।
২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালটির গেটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘হই হই রই রই ভিসি স্যার গেল কৈ’, ‘তোমার দাবি আমার দাবি মানতে হবে মানতে হবে’, ‘চাই না চাই না অবৈধ ভিসি চাই না’, ‘দফা এক দাবি এক ভিসি স্যারের পদত্যাগ’, ‘এই মুহূর্তে গদি ছাড়, অবৈধ ভিসি স্যার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, প্রাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। রাজধানী ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডে এর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে।