বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের মুখপত্রে আপনাকে স্বাগতম।

অজিত চন্দ্র আইচ যমুনা লাইফের ভরসা

বাংলাদেশের মুখপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫

আদম মালেক : যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন জীবন বীমা খাতের জীবন্ত কিংবদন্তি অজিত চন্দ্র আইচ। গত ২৬ অক্টোবর তিনি এ পদের দায়িত্বগ্রহণ করেছেন।

যমুনা লাইফের সাফল্যের অগ্রযাত্রা, ইতিবাচক ভাবমূর্তি, গ্রাহক ও শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষায় তাকে এ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যমুনা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ। তার এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স একজন চৌকস এবং দূরদর্শী বীমা ব্যক্তিত্বের নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে।

প্রখ্যাত বীমা ব্যক্তিত্ব অজিত চন্দ্র আইচ দেশের চতুর্থ প্রজন্মের শীর্ষ বীমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে প্রতিষ্ঠাকালীন সিইও ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সাফল্যের সঙ্গে সোনালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বীমা খাতের একাধিক কোম্পানির শীর্ষ পদে তার এই দায়িত্ব পালন পেশাগত দক্ষতা, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও সাফল্যের সাক্ষ্য বহন করে।

ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে অজিত চন্দ্র আইচ বলেন, সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় এনে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি থেকে কোম্পানির উত্তরণ ও কোম্পানি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে, যথাযথ নেতৃত্বের মাধ্যমে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে এবং বীমা আইন ও আইডিআরএ’র নির্দেশনা মেনে কোম্পানির সার্বিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেব।

এছাড়াও নতুন সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সংগঠন সম্প্রসারণ ও সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে যমুনা লাইফে শতভাগ ইআরপি বা ডিজিটাল সেবা চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির পাঠ নেয়া অজিত চন্দ্র আইচের পেশাগত জীবনের শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ২০ মে জীবন বীমা কর্পোরেশনের চট্টগ্রামস্থ ৭১৭ ব্র্যাঞ্চে উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে। ১৯৮৯ সালের শেষ দিকে দেশের প্রথম বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে যোগ দেন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে।

বীমা শিল্পের আইকন এন এইচ সিদ্দিকী ও এ টি এম জাফর উল্লাহ চৌধুরীর সরাসরি সান্নিধ্যে থেকে বীমা পেশাকে ভালোবেসে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সারাদেশব্যাপী সংগঠন সৃষ্টি করে পর পর তিনবার জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

১৯৯৩ সালের মে মাসে ন্যাশনাল লাইফ ছেড়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক পার্লামেন্ট্রিয়ান এম মকবুল হোসেনের হাত ধরে সন্ধানী লাইফে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২০ বছর সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে সংগঠক ও কর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে সন্ধানী লাইফকে একটি বটবৃক্ষে রূপান্তর করেন।

চতুর্থ প্রজন্মের ১৩ টি জীবন বীমা কোম্পানির মধ্যে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স আইডিআরএ’ কর্তৃক প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয় এবং ২০১৩ সালের পহেলা আগস্ট থেকে পথ চলা শুরু করে। সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ অজিত চন্দ্র আইচের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা ও কর্ম দক্ষতা বিবেচনা করে তাকে প্রতিষ্ঠাকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং যথারীতি আইডিআরএ’র অনুমোদনপ্রাপ্ত হন।

পরবর্তীতে জনাব অজিত চন্দ্র আইচ সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে শতভাগ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর গ্রাহক সেবা প্রদান, প্রশিক্ষিত এজেন্ট কেন্দ্রিক বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা, সর্বোপরি গ্রাহকের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দেশের অন্তত ৪০ টি জেলায় উদ্যমী শিক্ষিত তরুণদের সংগঠিত করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেন। জনাব অজিত চন্দ্র আইচের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও পরিচালনা পর্ষদের পূর্ণ সহযোগিতার ফলে মাত্র ছয় বছরের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের প্রথম কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে প্রবেশ করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

২০২০ সালের ৩০ জুন দীর্ঘ সাত বছরের কোম্পানির উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলমান রেখে তিনি প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে সফলতার সাথে তিনি তিন বছর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।

বীমা শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তী অজিত চন্দ্র আইচ পারিবারিক জীবনেও অত্যন্ত সফল পিতা। তার মেয়ে ডাঃ অনিন্দিতা আইচ ও জামাতা ডাঃ শুভ কুমার বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার টাউন্সভিল হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ছেলে অভিজিত আইচ অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তারা সবাই স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর