আদম মালেক:
যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের যেমন সততা আছে তেমনি বিশাল কর্মীবাহিনীর রয়েছে দক্ষতা। এসব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স ২০২৭ সালে ১০০ কোটি টাকার প্রিমিয়াম আদায় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র আইচ।
অজিত চন্দ্র আইচ বলেন, ২০১৪ সালে যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্সের যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি চমৎকার বোর্ড রয়েছে। এই বোর্ডের সদস্যরা দেশের খ্যাতিমান উদ্যোক্তা। সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করে মুনাফাসহ ফেরত দেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছে যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স। তৈরি করেছে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান করেছে হাজার হাজার বেকার তরুণ তরুণীর।
যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্সের সফলতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সেবার উন্নতি হয়েছে। রয়েছে সন্তোষজনক লাইফ ফান্ড। এই কোম্পানিতে কোন বীমা দাবি বকেয়া নেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করে চলছে কোম্পানি।
তিনি জানান, যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্সের বর্তমানে ৪৫ টি শাখা আছে। ২৫ টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। ওই সার্ভিস সেন্টার থেকে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে গ্রাহক সেবা দেওয়া হয়। এই সেবা কেন্দ্র ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে আরো বাড়ানো হবে। সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান শক্তিশালী কর্মী বাহিনীকে উৎসাহব্যঞ্জক মৌলিক প্রশিক্ষণ দেবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো হবে। যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স একটি ব্র্যান্ড। এই সার্থকতার জন্য যাচাই-বাছাই করে ভালো ভালো বীমা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।
চলতি মাসে যোগদানের পর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনেক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, দীর্ঘ ৩৮ বছরে পেশাগত জীবনে জীবনে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি। অনেকে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ শুরু করছে। আমার হাত ধরে একাধিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্সও নিকট ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিনি কোম্পানিকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বলেন, ভবিষ্যতে আমরা ভাল ব্যবসা করব। চলতি বছর বিগত বছরের চেয়ে ব্যবসা বিশ শতাংশ বাড়বে। এ বছরের আরো বেশ কিছুদিন বাকি আছে। ২০২৬ সালে ৪০ কোটি টাকা প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ও ১৫ কোটি টাকার নবায়ন প্রিমিয়াম আয়ের স্বপ্ন দেখেন তিনি। ২০২৭ সালে এই প্রিমিয়াম আয় ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তার প্রত্যাশ।