বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশের মুখপত্রে আপনাকে স্বাগতম।

স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম, দূর্নীতিতে খুড়িয়ে চলছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের কর্মপ্রক্রিয়া

বাংলাদেশের মুখপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক:

অনুসরণ করা হচ্ছে না সরকারী ক্রয় আইন ও বিধিমালা। ভুয়া কনসালটেন্টেন নিয়োগ, ভুয়া শর্তাবলির সংযুক্ত করে সম—আচারণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, নাম সর্বস্ব ঠিকানা বিহীন প্রতিষ্ঠানকে কাযার্দেশ প্রদান, ক্ষমতার অপব্যবহার, হাসাপাতালের ১০০ গজের ভিতরে নিজস্ব প্রাইভেট হাসপাতালের মাধ্যমে সরকারী হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে নেয়া,

সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগত সরকারের আমল থেকেই যেন স্বৈচ্চাচারিতার একক ক্ষমতার অধিকারী তা তার বিগত ও বর্তমান কর্মকান্ডেই বার বার প্রমাণিত। নিজের ক্ষমতা ও দায়িত্বের অপব্যবহার করে চরম দূর্নীতি আশ্রয় নিয়ে খামখেয়ালীর মাধ্যমে উদ্ভট , অযাযিত ও নিজ স্বেচ্ছাচারিতামূলক ক্রয় আইন ও বিধি বহির্ভূত শর্তাবলি সংযুক্ত করে নিজ পছন্দের সাপ্লায়ার কাজ পেতে সহায়তা করে আসছে। দেখা যাচ্ছে যে গত তিন বছর ধরে প্রতি বছরই নিজ ইচ্ছামত নিজ সাপ্লায়ারের মন মতো শর্তাবলি সিডিউলে সংযুক্ত করে কার্যাদেশ দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিেতে যথেষ্ঠ প্রমানও মিলেছে। অথছ সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা পন্য, কার্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে উক্ত রুপ ক্রয় কার্যে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম—আচারণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য পিপিএ—২০০৬, পিপিআর—২০০৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শর্তাবলি কি ধরনের হবে তা উল্লেখ আছে ষ্পষ্ট আকারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে উক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তা অনুসরন না করে নির্দিষ্ট আওয়ামীলিগ ফ্যাসিবাদতুষ্ট সরবরাহকারী/সিন্ডিকেটদের বিশেষ সুবিধা প্রদানে অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় ও অযাচিত অপরিমেয় শর্ত ও নিয়ম জুড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অসাধু উপায়ের মাধ্যমে অনিয়ম করে আসছে। যেন উনিই একমাত্র ক্রয়কারী যিনি কোন রুপ আইন বা বিধি মানতে বাধ্য নয়। এই বিষয়ে উনার মতামত চাওয়া হলে উনি এক কথা জানিয়ে দেয় যে জেল জরিমানা যা—ই হোক উনি নিজেই দেখবে।

সূত্রে জানা যায় যে, ই—জিপি দরপত্র আহবানে ক্রয়কারী প্রধানসহ নূন্যতম একজন ক্রয় সেক্রেটারী ও দুই জন মেম্বারের ই—জিপি জ্ঞান তথা ই—জিপি পরিচালনা করতে হয়। অথচ গত তিন বছরের ধরে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রধানসহ কারোই ই—জিপি ট্রেনিং নেয়া না থাকলে কথিত গায়েবী প্রক্রিয়ায় ঠিকই তিন বছর ধরে টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই বিষয়ে কর্মকর্তা ডা. রাসেদুল হক এর কাছে জানতে চাওয়া হলে জানানো হয় যে তারা ডিজি হেলথ এর এমআইএস এর কনসালটেন্ট এর মাধ্যমে টেন্ডার করে আসছে। কিন্তু কে বা কারা এই ধরনের কনসাল্টেন্টের ভূমিকায় কাজ করছে বা কোন প্রমাণিক দলিলের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ই—জিপি আইডি পার্সওয়ার্ড বা ই—জিপি পরিচালনা গত তিন বছর ধরে করে আসছে তার কোন সদ্যুত্তর দিতে সক্ষম হননি।

সবচেয়ে বড় হুমকির বিষয় হচ্ছে, যেহেতু সংশ্লিষ্ট হসপিটালের ই—জিপির আইডি—পার্সওয়ার্ড উক্ত তৃতীয় (ট্রেইনার/কনসালটেন্ট) পক্ষের নিকট থাকে সেক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক বিধায় বিষয়টি নিয়ে ভাবা জরুরী। সরকারী প্রতিষ্ঠানের কেনা কাটা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আইডি পার্সওয়ার্ড তৃতীয় ব্যক্তির কাছে চলে যাওয়ায় সরকারী ক্রয় কার্য কতটা হুমকীর মুখে তা কল্পনাতীত।

এইছাড়া দেখা যাচ্ছে যে, ক্রয় বাজেটের আকার ও ধরন এমএসআর খাতের ৬টি গ্রুপের কেনাকানার জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী সবোর্চ্চ ঔষধ সামগ্রী (নন—ইউডিসিএল) গ্রুপে বাজেট ছিল ২৫ লক্ষ টাকার কম। সে অনুযায়ী ঈচঞট কতৃর্ক নির্ধারিত ফরম ঝঞউ ভড়ৎস ভড়ৎ এড়ড়ফং অনুসারে ২৫ লক্ষ টাকার নিচে অভ্যন্তরিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব—চএ২ ফরম্যাট। উক্ত ব—চএ২ সিডিউলের অধ্যায় ২. দরপত্র উপাত্ত শীটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে দরদাতার যোগ্যতার নির্ণয়ক হিসাবে কি শর্ত যুক্ত করা যেতে পারে আবার দরপত্র দলিল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্যাকেজ/লট ভিত্তিক দরপত্রে দরদাতার ব্যক্তিগত যোগ্যতা (পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা এবং আর্থিক সামর্থ) নির্ধারনের ক্ষেত্রে পিপিআর—২০০৮ বিধি ৪৮,৪৯ অনুসরন করার করা কথা থাকিলেও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এক শ্রেণি আওয়ামী সিন্ডিকেট এর যোগসাজসে গত কয়েক বছর ধরে ভয়ংকর দূর্নীতি করে আসছে।

২৫ লক্ষ টাকা স্বল্প মূল্য সীমার মধ্যে ক্রয়ে ব—চএ২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্যাট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় আর্থিক যোগ্যতা এবং ১ বছরে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা সরবরাহের অভিজ্ঞতা দরপত্র দাখিলে যোগ্য বলে বিবেচ্য। অথচ উক্ত প্রতিষ্ঠানের দরপত্রের শর্তবলি পযার্লোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে অপ্রয়োজনীয় ২৫ থেকে ৩০ টি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে যাতে করে প্রকৃত দরদাতারা দরপত্র অংশগ্রহণ না করতে পারে। শুধুমাত্র শর্ত যুক্ত করেই দুর্ণীতির আশ্রয়ে নেয়া হয়নি পুরো ই—জিপি প্রক্রিয়ায় করা হয়ে ভয়াবহ দূণীর্তি। গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে গত তিন বছর ধরে উক্ত কর্মকর্তা নিয়ম বহিভূর্তভাবে নির্দিষ্ট সরবরাহকারীকে কাজ দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দরপত্রের শর্ত বলা আছে শতভাগ পণ্যের নমুনা দরপত্র দাখিরে পূর্বেই উক্ত কর্মকতার্র দপ্তরে জমা করে জমা রিসিভ দরপত্রের সাথে আপলোড করতে হবে। অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে মেসার্স তাহেরা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ইলেক্ট্রো সায়েন্স ও মেসার্স এন আর কপোর্রেশন তিনটি কোম্পানীর সিন্ডিকেট জোট নাম মাত্র ছোট একটি কার্টুন বক্স জমা দেন। যেখানে সম্পূর্ণ পরিমান নমুনা যে দাখিল করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তা অসত্য। মূলত দরপত্রে যাতে করে তৃতীয় কোন দরদাতা অংশগ্রহনে আগ্রহী না হয় সেজন্য নমুনা দরপত্র দাখিলের পূর্বে চেয়ে দরপত্র না দাখিলের জন্য অনাগ্রহী করা হয়েছে যা কোন মতোই দরদাতাদের প্রতি সম—আচরন বলে বিবেচিত নয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গিয়েছে দরপত্রে কাজ পাওয়া মেসার্স ইলেক্ট্রো সায়েন্স, মেসার্স তাহেরা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স এন আর কর্পোরেশন ছোট একটি বাক্সে নমুনা জমা দেওয়ার কারসাজি করে যেখানে সম্পূর্ণ স্যাম্পল/ নমুনা দেওয়া হয়নি।

দেখা যাচ্ছে যে মেডিসিন গ্রুপের ২৮ নং শর্তে বলা হয়েছে শতভাগ স্যাম্পল দরপত্র জমা দেওয়ার পূর্বেই জমা দিয়ে রিসিভ কপি ই—জিপি সিস্টেমে আপলোড করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে মেডিসিন গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপের স্যাম্পল হিসাবে কভার মোড়ানে খালি বাক্স জমা করেন।

আবার টেন্ডার ডাটা শীটে ২,৩ ও ৪ নং শর্তে বলা হয়েছে ২০২৪—২০২৫ সালের দরদাতার ইনকাম ট্রেক্স জমার কপি ইজিপি সিস্টেমে আপলোড করা বাধ্যতামূলক শুধু তাই নয় সম্পূর্ণ পিপিআর ও পিপিএ বহির্ভূতভাবে শর্ত যুক্ত করা হয়েছে কোন দরদাতা যদি সকল গ্রুপের দরপত্রে অংশগ্রহন করতে চায় সেক্ষেত্রে সকল গ্রুপে মোট বাজেট ইনকাম টেক্স থাকতে হবে। এই ধরনের ভিত্তিহীন শর্ত দরপত্র অবাধ প্রতিযোগিতাকে ষ্পষ্ট বাধাগ্রস্ত করে।

দরপত্রে শর্ত নং ১০ পিপিএ ও পিপিআর সুস্পষ্ট লংঘন। শর্ত বলা হয়েছে ক্রেডিট লাইনের সমপরিমান অর্থ দরপত্র দাখিলের পূর্বদিন পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতি থাকতে হবে। অথচ আইন ও বিধিতে স্পষ্ট করা রয়েছে দরদাতার আর্থিক যোগ্যতা সমর্থনে ব্যক্তির ব্যাংক লিক্যুয়েড এর অনুস্থিতিতে ব্যাংক কতৃর্ক ইস্যুকৃত ক্রেডিট লাইন ব্যবহার করতে পারবেন। অথচ উক্ত শর্তের ফলে অনেকে দরপত্রে অংশগ্রহন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

নাম প্রকাশে অংশগ্রহনে আগ্রহী একজন ঠিকাদার জানান যে, এই ধরনের উদ্ভট, আইনবিধি বহির্ভূত শর্তাবলি সংযুক্তি ফলে আগ্রহী দরদাতার প্রতি সম—আচারণ ও অবাধ প্রতিযোগিতাকে মারাত্বক বাধাগ্রস্থ নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটকে কাজ পেতে সুস্পষ্টভাবে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪—২০২৫ অর্থ বছরে ২০ —২৫ টি শর্ত জুড়িয়ে দিয়ে অন্যন্য সাপ্লায়ারদের দরপত্র দাখিলে বাধাগ্রস্থ করা হলেও পরবতীর্তে দেখা যাচ্ছে মাত্র এক মাস বয়সী লাইসেন্স মেসার্স এন আর কর্পোরেশন কে ৬ টি লটের মধ্যে ৫টি লটের কাজ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় সরেজমিনে উক্ত প্রতিষ্ঠানে মেসার্স এন আর কর্পোরেশন এর ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখিত ঠিকানা অনুযায়ী যাচাই কোন রুপ ঠিকানার অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। তাহলে ঠিকানা যাচাই না করে কিভাবে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যের মত জটিল স্পর্শকাতর মালামালসমূহের কাযার্দেশ দেওয়া হয় তার তদন্ত জরুরী। জানা যায় যে, এই সিন্ডিকেট চক্র শুধুমাত্র ফেঞ্চুগঞ্জে উপজেলা—ই নয় সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে টেন্ডার কেনাকাটায় রাষ্ট্রের ব্যাপক দূনীর্তি করে যাচ্ছে। আবার সুস্পষ্ট অফিস ঠিকানা না থাকায় এদের অবস্থান সুস্পষ্ট করা যাচ্ছে না।

গত অর্থ বছরের ধারাবাহিকতা বর্তমান ২০২৫—২০২৬ অর্থ বছরেও একই প্রক্রিয়া ক্রয় আইন ও বিধি বহির্ভূত শর্তাবলি সন্নিবেশ করে তড়িগড়ি করে টেন্ডার আহবান করে। জানা যায় যে উক্ত কর্মকর্তা প্রেষনে বদলি হওয়ার চিঠি পাওয়ার প্রাক্কালে তড়িগড়ি করে টেন্ডার আহবান করে ।

শর্তবলিতে বলা হয়ে যে, ক্রয় কারী যেন কোন আইটেম ক্রয় স্থগিতকরন, হ্রাস—বৃদ্ধি করা যে কোন একক সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতে পারিবেন। এই বিষয়ে সরবরাহকারীরা কোন রুপ ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারবে না বলে লিখিত প্যাডে ঘোষণা পত্র জমা দিতে হবে যা সম্পূর্ণ বিধি বহিভূর্ত। কেননা ঠিক কি পরিমান হ্রাস—বৃদ্ধি করা যাবে বা কি পরিমান অতিরিক্ত কাযার্দেশ প্রদান করা যাবে তা ক্রয় আইন, বিধি ও সিডিউলে সুস্পষ্ট করা হলেও মূলত এই ধরনে শর্তাবলির মাধ্যমে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নীল নকশা তৈরা করা হয়েছে। তারও যথেষ্ট প্রমান পাওয়া যায় টেন্ডার দাখিলের পর দরপত্র সমূহ উন্মোক্ত করনে। দেখা যাচ্ছে যে একই প্রতিষ্টান তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে প্রতিটি লটে তিনটি করে দরপত্র দাখিল করে। অথচ ক্রয় আইন ও বিধিতে এই বিষয়ে ষ্পষ্ট করা আছে যে কোন প্রতিষ্টান একটির বেশি একাধিক টেন্ডার জমা প্রদান করিলে উক্ত প্রতিষ্টানের সকল টেন্ডারই বাতিল বলে গণ্য হবে। আবার দেখা যাচ্ছে যে উক্ত প্রতিষ্টান সমূহে বাজেটের কোনটা ২৫% কোনটা ৩৫% আবার কোনটা ৫০% নিচে রেইট করে। অথচ পিপিআর এ স্পষ্ট বলা আছে যে মোট বাজেটের ৬৫% এর নিচে প্রাইস অফার করা হলে সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হওয়ার কথা। তাছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে ট্রেড লাইসেন্সে এমএসআর শব্দের যুক্তকরন, অফিস ভাড়া সংক্রান্ত আগামী ২ বছরের অফিস ভাড়া চুক্তি, শতভাগ স্যাম্পল দাখিল দাখিল খেলা সহ প্রতিবছরই সাপ্লায়ারের ইচ্ছা মতো শর্ত পরিবর্তন কাজ দিয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী এই বছর থেকে ইভ্যালুয়েশন কমিটিতে বাহিরের একজন সদস্য থাকার কথা যা হতে পারে সংশ্লিষ্ট থানার অন্যান্য সরকারি দপ্তর বা সিভিল সার্জন অফিসের যে কোন সরকারি কর্মকর্তার। কিন্তু জানা গিয়েছে যে তা না করে অন্য থানা বিশ্বনাথ উপজেলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা কে সদস্য হিসাবে মনোনীত করেন শুধুমাত্র নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থ সুরাক্ষার জন্যই। কেননা দেখা যাচ্ছে একই ঠিকানা উল্লেখ করে একই প্রতিষ্ঠান একাধিক লাইসেন্স ও একই শর্তাবলি ব্যবহার করে উভয় প্রতিষ্ঠান টেন্ডার আহবান ও সাবমিশন করে একই তারিখে। আবার উভয়ই উভয়ের বাহ্যিক মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। সেক্ষেত্রে বুঝা যাচ্ছে যে জুলাই বিপ্লবে বিজয় আসলেও আসে সিন্ডিকেট মুক্ত স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর