নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভোলা জেলা পরিষদ হলরুমে ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা পৌর শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সারাদেশ থেকে লগি-বাইঠা নিয়ে ঢাকায় আহ্বান করা হয়েছিল। এরপর কত নির্মমভাবে মানুষকে লগি-বাইঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং শুধু মৃত্যু নিশ্চিত নয়, লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নৃত্য করার মতো বর্বর কর্মকাণ্ডও করেছে খুনি হাসিনা ও তার বাহিনী আওয়ামী লীগ।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমরা দেখেছি রাতের আঁধারে শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে যখন দেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, তখন নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১০০-র বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এটি বড় একটি গণহত্যা ছিল। বাংলাদেশে এমন কোনো মানুষ বা পেশা ছিল না, যাদের ওপর হাসিনা নির্যাতন চালায়নি।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা না করে। হাসিনার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা চাই সকলেই ফ্যাসিবাদমুক্ত রাজনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এবং সেই আলোকে নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নির্ধারণ করবে, মানুষের জন্য রাজনীতি করবে। কোনো ফ্যাসিবাদী বা খুনের রাজনীতি করবে না। আমি আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব শিগগিরই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে এনে, তার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গণহত্যাগুলোর বিচার করে দণ্ড কার্যকর করবে।
এ সময় ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা পৌরসভা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা শাখার আমির মাস্টার জাকির হোসাইন প্রমুখ।