বিশেষ প্রতিনিধি ইন্জিঃমোঃমিজানুর রহমান :-
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর,বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্রের উন্নয়নের পেছনে রয়েছে হাজারো প্রবাসী শ্রমিকের ঘামঝরা অবদান। এর বড় একটা অংশই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। নির্মাণ খাত, জাহাজ মেরামত, পরিচ্ছন্নতা—সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখানে অপরিহার্য শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। এদেশে শুধু নির্মাণ খাতেই বিদেশি শ্রমিকের হার প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি, যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির আধুনিক অবকাঠামো গড়ার পেছনে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিশেষভাবে ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, এসব শ্রমিক প্রতিবছর দেশে রেমিটেন্স পাঠান প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থ বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে শক্তি যুগিয়ে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
তবে শ্রমিকদের জীবনযাপন সবসময় সহজ নয়। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, গাদাগাদি ডরমেটরি এবং সীমিত সামাজিক সুযোগ-সুবিধা এসব তাদের নিত্যসঙ্গী। যদিও সিঙ্গাপুর সরকার শ্রমিক কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীদের আরও সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুর প্রযুক্তিনির্ভর খাতে অগ্রসর হলে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়বে। তাই বাংলাদেশের জন্য এখনই জরুরি হচ্ছে শ্রমশক্তিকে আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে কেবল নির্মাণ নয়, প্রযুক্তি ও সেবাখাতে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখা।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় দক্ষ শ্রমিকদের এখানে মূল্য অনেক দক্ষতা অর্জন ও সঠিক প্রশিক্ষন নিয়ে আসলে এখানে মোটামুটি ভালভাবেই চলা যায়।মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলা থেকে ২০০৪ সালে এ দেশে আসেন মামুনুর রশীদ প্রথমে ঢাকায় স্কিল করে এসে এখানে আবারও প্রশিক্ষন নিয়ে কাজে যোগ দেন, জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ জানান সিঙ্গাপুরে তিনি ভালই আছেন এবং এদেশের খরচ পরে মাসশেষে পরিবারের জন্য দেশে ভালই টাকা পাঠাতে পারেন।
কুলাউড়া উপজেলার সাইফুল ইসলাম জানান উনি মাত্র ৬ মাস হল এদেশে এসেছেন এবং মোটামুটি ভালই আছেন উনার ব্যাক্তিগত খরচ শেষে পরিবারের জন্য ভালোই টাকা দেশে পাঠাতে পারেন।সাইফুল ইসলাম আরও বলেন দক্ষ শ্রমিকের জন্য এদেশের দরজা সবসময় খোলা দক্ষ হয়ে আসলে এদেশে মোটামুটি ভালই থাকা যায়।